হিমসাগর, মোহনভোগ, লক্ষণভোগ আসছে গোপালভোগ ও ফজলি
চলছে রমজান মাস। ইফতারে রোজাদাররা দেশি রসালো ফলে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। অন্যদিকে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ হওয়ায় বাজারগুলো মৌসুমী ফলে ভরপুর। আম, লিচু, কাঠাল, আনারসসহ নানাবিধ লোভনীয় সুমিষ্ট ফলে নগরীর বাজারগুলো সরগরম। এসবের মধ্যে আমের সরবরাহ সবচেয়ে বেশি। দামও রয়েছে হাতের নাগালে। আর তাই ক্রেতা বিক্রেতারা ভিড় করছেন নগরীর পাইকারি বাজার ফলমণ্ডিতে।
গতকাল সোমবার নগরীর সবচেয়ে বড় পাইকারি ফলের বাজার ফলমণ্ডি ঘুরে দেখা যায় আমে ভরপুর, বেচাকেনায় ব্যস্ত ক্রেতা বিক্রেতার।
টানা বৃষ্টির পর ক্রেতারা বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাছাড়া সরবরাহ বেশি থাকায় খুশি ব্যবসায়ীরাও। তারা আশা করছেন, রমজানে ভালো ব্যবসা হবে। ফলমণ্ডির পাইকারি বিক্রেতা মো. মাসুদুল ইসলাম সুপ্রভাতকে জানান, ‘পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরেও টানা বৃষ্টির প্রভাবে গত এক সপ্তাহ বাজারে ক্রেতা ছিল না। বৃষ্টি কমে যাওয়ায় ক্রেতা বাড়তে শুরু করেছে। দামও রয়েছে নাগালে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ভালো ব্যবসা হবে।’
বাজারে প্রতি কেজি লক্ষণভোগ আম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, হিমসাগর ৪৫ থেকে ৫০, ল্যাংড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও গুটি আম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫, আটি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা দামে।
ফলমণ্ডিতে আম কিনতে আসা অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান সুপ্রভাতকে জানান, ‘খুচরা বাজার থেকে দাম কম থাকায় সবসময় এখান থেকে ফল কিনি। গতবারের তুলনায় এবার দাম কম দেখছি। তবে বাজারে পুরোপুরিভাবে রাজশাহীর আম এখনো আসেনি।’
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘রাজশাহীর গোপালভোগ, লক্ষণভোগসহ নানান জাতের আম আসতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে তা আসছে খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা গুটি, হিমসাগর, মোহনভোগসহ বিভিন্ন জাতের আম।’
সম্প্রতি ফলমণ্ডির ফলে ফরমালিন
পায়নি বলে ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম। তবে প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে এবার ফলে ফরমালিন মেশাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা বলেন, ‘আগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভের আশায় কাঁচা ফলে ফরমালিন মিশাতো। কিন’ এবার প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে সে সুযোগ আর হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে ক্রেতারা ফরমালিনের ভয়ে মৌসুমি ফলগুলো তেমন একটা কিনতে চাইত না। কিন’ ভ্রাম্যমাণ আদালতের টানা অভিযানের ফলে বাজারে কেউ ফরমালিন ব্যবহারের সাহস করছে না। এজন্য ক্রেতারা আশ্বস্ত হয়ে ফল কিনতে আসছেন।’
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের ম্যজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী সুপ্রভাতকে জানান, ‘রোববার ফিরিঙ্গীবাজার ও ফলমণ্ডিতে আমে ফরমালিন আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখেছি। সেখানে আমরা ফরমালিন পাইনি।’
Comments
- No comments found
Leave your comments