চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কিরণগঞ্জ গ্রামে আম চুরির প্রতিবাদ করায় রাসেল উদ্দিন (১৭) নামের বাগানের এক পাহারাদারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রাসেল শিবগঞ্জের কিরণগঞ্জ গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে। সে কিরণগঞ্জের একটি আম বাগানের পাহারাদার হিসেবে কাজ করত।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমজান আলী জানান, আম বাগান থেকে আম চুরির ঘটনায় রাসেল একই এলাকার আবু বকরের ছেলে হালিমকে সন্দেহ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হালিম ও তার সহযোগীরা শুক্রবার সন্ধ্যায় আম বাগানে গিয়ে রাসেলকে পিটিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহত রাসেলের লাশ উদ্ধার করে।
ওসি আরো জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলার আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম চুরির প্রতিবাদ করায় পাহারাদারকে পিটিয়ে হত্যা!

বাগান পাহারায় নিয়োজিত পুলিশের বিরুদ্ধে আম চুরির অভিযোগ
আম বাগান পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে আম চুরির অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টে পশ্চিমবঙ্গের এক চাষী এ অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর এজলাসে অভিযোগ জানিয়ে নদীয়া জেলার চাষী বিনোদ বালা বলেন, কোর্টের নির্দেশেই তার আম বাগান পাহারা দিতেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। স্থানীয় যুবকরা তার বাগানের বেশিরভাগ আম চুরি করে নিত বলেই তিনি আদালতে পুলিশ পাহারা চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
বালার আইনজীবী তুলসী দাস রায় জানান, কিছুদিন আগে তার মক্কেলকে শান্তিপুর থানা পুলিশ ডেকে নিয়ে যায়। প্রায় সাত ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল তাকে। সন্ধ্যার দিকে তিনি লক্ষ্য করেন, থানার পুলিশ সদস্যরা সবাই আম খাচ্ছেন। সেগুলো যে তার বাগানের আম, সেটাও চিনতে পারেন তিনি।
থানা থেকে ফিরে এসে তিনি দেখেন প্রায় বাগানের এক-তৃতীয়াংশ আম, যার দাম প্রায় তিন লাখ টাকা, সেটা উধাও। বালার অভিযোগ, আগে থেকে ঠিক করেই তাকে থানায় বসিয়ে রেখে আম চুরি করানো হয়েছে। শান্তিপুর থানার পুলিশের প্রধান পার্থ প্রতিম রায় বলেছেন, বিনোদ বালার আম বাগান পাহারা দেওয়ার জন্য পুলিশ নিয়োগ করতে আদালতের নির্দেশ ছিল এমন কথা তার জানা নেই। তিনি বলেন, তার থানার পুলিশ ওই বাগানে পাহারা দিত না। এই অভিযোগ পেয়ে বিস্মিত হয়েছে আদালত।
আইনজীবীরা বলেছেন, বিচারপতি বাগচী অভিযোগ দেখে মন্তব্য করেন এটা যদি সত্যি হয় তাহলে তা ভয়ঙ্কর ব্যাপার।
আম চুরি করায় বেধড়ক মার খেয়ে হাসপাতালে শিশু

বছর ছ`য়ের রাজীবের অপরাধ ছিল, সে ও তার বন্ধুরা বাগান থেকে কয়েকটি আম চুরি করেছিল। আর এই অপরাধেই বেধড়ক মারধর করা হল একটি শিশুটিকে। শুধু তাই নয়, মারধরের পর গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আমবাগানে টেনে-হিঁচড়ে ঘোরানোও হয় তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার হজরতপুর এলাকায়।
গত সোমবার তপন থানার হজরতপুর এলাকার একটি আমবাগানে ঢুকেছিল রাজীব ও তার কয়েকজন বন্ধু। তারা সবাই মিলেই আম পাড়তে গাছে ওঠে। কিন্তু বাগান পাহারায় যারা ছিল তাঁদের নজরে পড়ে যায় বিষয়টি। অন্যরা পালাতে সক্ষম হলেও, রাজীব ধরা পড়ে যায়। আম চুরির শাস্তি হিসেবে হাত-পা বেঁধে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রচণ্ড মারধর করা হয় রাজীবকে। এই শাস্তিও কম বলে মনে হওয়ায় এরপর ফাঁস লাগানো অবস্থাতেই রাজীবকে আমবাগানে টেনে-হিঁচড়ে ঘোরানো হয় বলে অভিযোগ।
রাজীবের বন্ধুরা এই ঘটনা দেখতে পেয়ে ছুটে গিয়ে তার বাড়িতে খবর দেয়। শিশুটির বাবা বাগান থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ছোট্টো রাজীবকে। আপাতত গঙ্গারামপুর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ওই শিশু। গলায় দড়ি বেঁধে টানার ফলে তার কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। এই ঘটনায় আমবাগানের মালিক সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুর পরিবার। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিস।
সচিবালয়ে আম চুরি বন্ধে পুলিশি পাহারা!

সচিবালয়ে আম চুরি বন্ধে পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে। তবুও ঠেকানো যাচ্ছে না আম চুরি। এমনকি আম গাছের গায়ে নোটিসও ঝুলানো হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে, 'আম ছেঁড়া নিষেধ- আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ'। সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সচিবের দফতরের সামনে একটি ল্যাংড়া আম গাছে এ ধরনের নোটিস টানানো হয়। জানা গেছে, প্রতিদিন বিকালে ও রাতে কে বা কারা সচিবালয়ের ভেতরের এ গাছ থেকে আম চুরি করছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রথমে আম চুরির জন্য কর্তব্যরত পুলিশকেই সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশের অ্যাসিস্টেন্ট ডেপুটি কমিশনারকে জানানো হয়। এরপরও চুরি বন্ধ না হওয়ায় গত সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই বিষয়টি পুলিশের নজরে আনা হয়। তদন্ত করে পুলিশ জানায়, রাতে সচিবালয়ের ভেতরে থাকা ক্যান্টিনের কর্মচারীরাই আম চুরি করছে।